Header Ads

Header ADS

চায়নাতে ফুল স্কলারশিপ Study in China

চায়নাতে ফুল স্কলারশিপ study in china https://rhriyadhasan.blogspot.com/


আমাদের দেশের বেশিরভাগ ছাত্র-ছাত্রী বর্তমান বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য চায়না তে আসছে, কীভাবে অ্যাপ্লাই করতে হয় তা না জানার জন্য তারা প্রথমেই এজেন্টদের কাছে যাচ্ছে বা ফেসবুকে কিছু বড় ভাই আছে যারা টাকা নিয়ে এই কাজ করে দেয়, আমাদের দেশের অনেক ছাত্র-ছাত্রী এই বিষয়ে না জানার জন্য এজেন্ট ও বড় ভাইদের ১-১.৫ লাখ টাকা দেয়  কিন্তু বেশিরভাগ এজেন্ট ও বড় ভাই প্রতারণা করে। এইখানে আসার পরে দেখেছি এজেন্টরা কত ধোঁকা দেয় আমাদের দেশের ছেলে মেয়েদের। মিথ্যা বলে নিয়ে আসে পরে এসে দেখে ফুল স্কলারশিপ তো দূরে থাকল পারশিয়াল স্কলারশিপ-ও পাইনি অথচ এজেন্ট ও দালাল বড় ভাই মিথ্যা বলে নিয়ে আসে, হয়ত দুই একটা এজেন্ট সত্য বলে।

আপনি যদি চায়না তে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে আসতে চান, কারও ধোঁকাতে পরতে না চান, আর ১-১.৫ লাখ টাকা বাঁচাতে চান তা হলে নিচের লেখাটা আপনার জন্য-ই। নিজে থেকে অ্যাপ্লাই করে ভর্তি, চান্স, স্কলারশিপ পাওয়া সম্ভব। আমার নাম রিয়াদ, বর্তমান হুবেই ইউনিভার্সিটিতে ফিন্যান্স-এ মাস্টার্স করছি, আমি কোন রকম এজেন্টকে টাকা না দিয়েই ফুল স্কলারশিপ পেয়েছি, সরাসরি অ্যাপ্লাই করেই চান্স হয়, আমি এই লেখাতে বলব কীভাবে নিজে থেকে অ্যাপ্লাই করে চান্স পাওয়া যায় আপনি যদি নিজে অ্যাপ্লাই করে চান্স পেতে চান আর আপনার হাতে সময় থাকে তাহলে পড়তে পারেন এই লেখাটা। পরে পড়তে চাইলে শেয়ার করে রাখুন, ধন্যবাদ।

আবেদন করার মাধ্যমঃ
১। বাংলাদেশ মিনিস্ট্রি অব এডুকেশন, টাইপ এ,
২। সরাসরি সিএসসি (চায়না স্কলারশিপ কাউন্সিল) টাইপ বি।

বাংলাদেশ মিনিস্ট্রি অফ এডুকেশনঃ 

আমাদের দেশে সাধারণত ডিসেম্বর মাসের দিকে আবেদন শুরু হয়। তবে পত্রিকাতে আগে সার্কুলার দেবে http://www.shed.gov.bd/site/view/scholarship -এ ওয়েবসাইটে পাবেন।

এইখানে অ্যাপ্লাই করার জন্য আপনাকে অনেক ভালো অ্যাকাডেমিক রেজাল্ট থাকতে হবে, অনেক ভালো। প্রচুর কম্পিটিশন, ডাবল এ+ আর ৩.৫০+ সিজিপিএ নিয়ে-ও চান্স পাওয়া কঠিন। তবে আইইএলটিএস/ টোফেল, এইসএসকে (চাইনিজ ভাষার উপর দক্ষটা), ভালো রিসার্চ পেপার, পাবলিকেশন থাকলে আপনি থাকবেন অনেক এগিয়ে। প্রাথমিকভাবে যাচাই-বাছাই করার পরে কিছু স্টুডেন্টকে বাদ দেওয়া হবে তারপর বাকিদের এমব্যাসি তে ভাইবা নেওয়া হবে। এইখানে আসন সংখ্যা খুবই কম। ফাইনাল সিলেকশন হলে যে কোনো ২ টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২ টা বিষয়ে অ্যাপ্লাই করতে হবে আবার। সিএসসি থেকে এইখানে পার্থক্য একটা আর তা হলো বিমান ভাড়া টা পাওয়া যায় এছাড়া সব সুযোগ সুবিধা সিএসসি স্কলারশিপের মত সেম।


২। সরাসরি সিএসসি এর মাধ্যমে ইউনিভার্সিটি তে আবেদনঃ
সিএসসি স্কলারশিপ মানে অনেক প্রেস্টিজিয়াস স্কলারশিপ চায়নাতে; এই মাধ্যমে চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা একটু বেশি কারণ স্টুডেন্ট নেয় অনেক এবং সিজিপিএ কম হলেও চান্স পাওয়া যায় তবে যদি ভালো রিসার্চ পেপার থাকে।  http://www.campuschina.org/ বা https://studyinchina.csc.edu.cn/#/login-এই লিঙ্ক-এ গিয়ে সরাসরি আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার আগে অবশ্যই যে ইউনিভার্সিটিতে আবেদন করবেন তাদের লিংকে যাবেন এবং বিস্তারিত প্রসিডিওর পড়বেন, এছাড়া কি কি বিষয়ে এবার স্কলারশিপ দেবে তা আগে থেকে মেইল করে জেনে নিলে আপনার জন্য ভালো হবে। নতুন নিয়ম অনুযায়ী সর্বোচ্চ ১ টা ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন।


আনার্স এর জন্যঃ
স্কলারশিপ পাওয়া একটু কঠিন তবে পায় না তা কিন্তু না। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪-৫ বছর লাগবে পড়াশোনা শেষ করার জন্য। ১ বছর চায়না ভাষা শেখাবে তারপর আপনার মেজরের পড়াশোনা। বেশিরভাগ কোর্স চায়না ভাষাতে পড়তে হবে, হয়ত দুই একটা ইংরেজি পাবেন তবে না পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। চায়না ভাষা কি খুবই কঠিন হবে? হুম, মোটামুটি কঠিন বলা যেতে পারে। তবে অনেকেই পড়ছে, ভালো রেজাল্ট-ও করছে, আবার অনেকে ঝরে পরে। আপনি যদি পড়াশোনা করেন তা হলে ঝরে পরবেন না।

স্কলারশিপের সুবিধাঃ
যদি ফুল স্কলারশিপ পান তাহলে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, ইনস্যুরেন্স সব ফ্রি, এছাড়া নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমানোর জন্য প্রতি মাসেই পাবেন ২,৫০০ আরএমবি যা আমাদের দেশের টাকাতে ৪২,০০০। তবে হুম মনে রাখবেন আপনি ঘুমালে কিন্তু আপনার ফিউটার-ও কিন্তু ঘুমাবে। তবে ফুল স্কলারশিপ পাওয়া না গেলে পারশিয়াল স্কলারশিপ পাওয়া যায়, আর তা প্রায় অনেকেই পায়।
পার্শিয়াল স্কলারশিপ হলো হয়ত আপনার টিউশন ফি নেবে না বা আপনার থাকা ফ্রি কিন্তু অন্য খরচ আপনাকেই বহন করতে হবে।

উল্লেখ্য, ফুল স্কলারশিপ পেলে আপনাকে অনেক বিষয় মেনে চলতে হবে, ফুল স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য দরকার এসএসসি এ এইচএসসি তে খুবই ভালো রেজাল্ট। একবার ফুল স্কলারশিপ পেয়ে গেলে টাকা নিয়ে চিন্তা করতে হবে না, তবে আপনাকে চায়না তে এসে ভালো রেজাল্ট করতে হবে, খুবই ভালো রেজাল্ট করতে হবে, ৭৫% এর বেশি মার্কস রাখতে হবে, ৯০% ক্লাসে উপস্থিত থাকতে হবে। একবার রেজাল্ট খারাপ করলে আপনাকে সতর্ক করে দেবে, পরে বার বার বেশি খারাপ করলে স্কলারশিপ বাতিল হয়ে যাবে, তখন আপনাকে নিজের টাকাতে পড়তে হবে না হলে বাংলাদেশে চলে আসতে হবে। তবে স্কলারশিপ সহজে বাদ যায় না, কারণ সাধারণত ভালো ছাত্ররা ফুল স্কলারশিপ পেয়ে থাকে। অন্যদিকে পার্শিয়াল স্কলারশিপ পেলে এইসব শর্ত থাকে না।

এপ্লাই করার জন্য যে সকল কাগজ লাগবেঃ 
১. Passports scan copy (২-৩ নাম্বার পেজ যেখানে আপনার ছবি আর তথ্য আছে)
২. SSC, HSC Mark sheet, Certificate ( কাগজ গুলো প্রথমে ফটোকপি করতে হবে তারপর নোটারি করতে হবে ফটোকপি গুলো অরিজিনাল না, নোটারি করতে ১০/১২ টাকা নেবে ফার্মগেট/নীলক্ষেত-এ)
৩. Photo (পাসপোর্ট সাইজের)
৪. Physical examination report
৫. Study Plan (মিনিমাম ২০০ ওয়ার্ড)
. Testimonial
৭. IELTS/TOEFL score (Optional)
৮. HSK Score (Optional)
৯. Others (Optional)
১০. Non criminal certificate
১১. Pre admission letter (প্রথমে লাগবে না, ইন্টারভিউ ভালো হলে ইউনিভার্সিটি থেকে দেবে। পরে সেইটা আপলোড করতে হবে)

Others –এ আপনার এক্সট্রা যদি কোন অ্যাচিভমেন্ট, সার্টিফিকেট থাকে তাহলে তা দিতে পারেন। উপরের সব কাগজ প্রথমে স্ক্যান করবেন তারপর আবেদন করার সময় আপলোড করবেন একটা একটা করে। আবার সব গুলো কাগজ ফটোকপি।

ব্যাচেলর এর ক্ষেত্রে স্কলারশিপ নির্ভর করবে আপনার রেজাল্ট এর উপর। তবে IELTS বা HSK থাকলে আপনি এগিয়ে যাবেন অনেকটা। আর ভালো ইউনিভার্সিটির জন্য আপনাকে ভাইভা দিতে হতে পারে এইটা মাথায় রাখবেন। কে স্কলারশিপ পাবে তা কেউ-ই জানে না এইটা মাথায় রাখবেন, অনেকটা ভাগ্য আর ভালো রেজাল্ট এর উপর নির্ভর করবে।


মাস্টার্স এর জন্যঃ
ইংরেজি ভাষাতে স্কলারশিপ পাওয়া একটু কঠিন তবে পায় না তা কিন্তু না, তবে চায়না ভাষাতে পড়তে চাইলে স্কলারশিপ পাওয়া অনেকটা সহজ। বেশিরভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২/৩ বছর লাগবে পড়াশোনা শেষ করার জন্য। প্রথম বছরে ৬ মাস চায়না ভাষা শেখাবে তারপর আপনার মেজরের পড়াশোনা বা ভাষা শেখানোর সময় মেজরের পড়াশোনা (ইউনিভার্সিটির উপর নির্ভর করে)। কিছু কোর্স চায়না ভাষাতে পড়তে হবে, হয়ত বেশ কিছু কোর্স ইংরেজি পাবেন মানে চায়না ইংরেজি ভাষার মিশ্রণ।

স্কলারশিপের সুবিধাঃ
যদি ফুল স্কলারশিপ পান তা হলে থাকা, চিকিৎসা, ইনস্যুরেন্স সব ফ্রি, এছাড়া নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমানোর জন্য প্রতি মাসেই পাবেন ৩০০০ আরএমবি যা আমাদের দেশের টাকাতে প্রায় ৫১,০০০। তবে হুম মনে রাখবেন আপনি ঘুমালে কিন্তু আপনার ফিউটার-ও কিন্তু ঘুমাবে। তবে ফুল স্কলারশিপ পাওয়া না গেলে পার্শিয়াল স্কলারশিপ পাওয়া যায়।

পার্শিয়াল স্কলারশিপ পেলে হলো হয়ত আপনার টিউশন ফি নেবে না বা আপনার থাকা ফ্রি কিন্তু অন্য খরচ আপনাকেই বহন করতে হবে, আবার মাসে ৬০০ আরএমবি করে দিতেও পারে। এইটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ইউনিভার্সিটির উপর।

এপ্লাই করার জন্য যে সকল কাগজ লাগবেঃ
১. Passports scan copy (২-৩ নাম্বার পেজ যেখানে আপনার ছবি আর তথ্য আছে)
২. All academic Mark sheet+Certificate ( কাগজ গুলো প্রথমে ফটোকপি করতে হবে তারপর নোটারি করতে হবে ফটোকপি গুলো অরিজিনাল না, নোটারি করতে ১০/১২ টাকা নেবে ফার্মগেট/নীলক্ষেত-এ)
৩. Photo
৪. Study Plan/Research proposal
৫. English proficiency certificate (আগে যেই ইউনিভার্সিটিতে পড়েছেন সেখানকার আপনার ডিপার্ট্মেন্ট হেডের কাছে থেকে নেবেন)
৬. 2 Letter of recommendations (2 professors or at least 1 professor and 1 Associate Professor)
৭. Physical examination report
৮. Acceptance letter (Optional)
৯. IELTS/TOEFL score (Optional)
১০. HSK Score (Optional)
১১. Others (Optional)
১২. Non criminal certificate
১৩. Pre admission letter (প্রথমে লাগবে না, ইন্টারভিউ ভালো হলে ইউনিভার্সিটি থেকে দেবে। পরে সেইটা আপলোড করতে হবে)


পিএইচডি এর জন্যঃ
ইংরেজি ভাষাতে স্কলারশিপ পাওয়া যায়, তবে চায়না ভাষাতে পড়তে চাইলে স্কলারশিপ পাওয়া অনেক সহজ। বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ৩-৫ বছর লাগবে পড়াশোনা শেষ করার জন্য। প্রথম বছরে ৬ মাস চায়না ভাষা শেখাবে তারপর আপনার মেজরের পড়াশোনা বা ভাষা শেখানোর সময় মেজরের পড়াশোনা (ইউনিভার্সিটির উপর নির্ভর করে)।

স্কলারশিপের সুবিধাঃ
যদি ফুল স্কলারশিপ পান তা হলে থাকা, খাওয়া, চিকিৎসা, ইনস্যুরেন্স সব ফ্রি, এছাড়া নাকে সরিষার তেল দিয়ে ঘুমানোর জন্য প্রতি মাসেই পাবেন ৩৫০০ আরএমবি যা আমাদের দেশের টাকাতে প্রায় ৬০,০০০। পার্শিয়াল স্কলারশিপ হলো হয়ত আপনার টিউশন ফি নেবে না বা আপনার থাকা ফ্রি কিন্তু অন্য খরচ আপনাকেই বহন করতে হবে, আবার মাসে ১৬০০-২৫০০ আরএমবি করে  দিতে-ও পারে। এইটা সম্পূর্ণ নির্ভর করবে আপনার ইউনিভার্সিটির উপর।

এপ্লাই করার জন্য যে সকল কাগজ লাগবেঃ
১. Passport scan copy
২. All academic Mark sheet+Certificate
৩. Photo
৪. Research proposal
৫. English proficiency certificate
৬. 2 Letter of recommendations
৭. Physical examination report
৮. Acceptance letter
৯. IELTS/TOEFL score (Optional)
১০. HSK Score (Optional)
১১. Publication (Optional)
১২. Others (Optional)
১৩. Non criminal certificate
১৪. Pre admission letter (প্রথমে লাগবে না, ইন্টারভিউ ভালো হলে ইউনিভার্সিটি থেকে দেবে। পরে সেইটা আপলোড করতে হবে)

আপনার চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা কত টা কেউ-ই জানে না। আপনার যদি ভালো রেজাল্ট থাকে, পাবলিকেশন থাকে, রিসার্চ পেপার থাকে IELTS/TOEFL, HSK থাকে তাহলে আপনার ফুল স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। এইখানে কম্পিটিশন কিন্তু অনেক বেশি এইটা মাথায় রেখে অ্যাপ্লাই করবেন কারণ বিভিন্ন দেশ থেকে অনেকে অ্যাপ্লাই করবে। স্কলারশিপ পাবে শুধু যারা সব থেকে ভালো স্টুডেন্ট তাড়া, সবাই পাবে না। আপনার ফুল প্রোফাইল দেখবে তার উপর নির্ভর করবে আপনার স্কলারশিপ। সিজিপিএ ৩.৮০ কিন্তু রিসার্চ পেপার নেই বা অন্য কিছু নেই তাহলে চান্স হবে না এইটা মাথায় রাখবেন। আবার যার ৩.০০ কিন্তু রিসার্চ পেপার, ভালো পাবলিকেশন, IELTS/TOEFL, HSK আছে সে কিন্তু এগিয়ে থাকবে। আর একটা কথা আপনি প্রাইভেট, ন্যাশনাল, নাকি পাবলিক এ পড়েছেন এইটা উনারা দেখবেনই না, উনারা আপনাকে বিচার করবে আপনার প্রিভিয়াস ইউনিভার্সিটিকে না, আপনি কোথায় পড়েছেন তা এইখানে বিষয় না, আপনি কি করেছেন এইটা দেখবে। স্কলারশিপ হবেই না এইটা মাথায় রেখে দেশে কিছু করার চেষ্টা করুন।


যেভাবে এপ্লাই করবেনঃ
১. প্রথমে যেই ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করবেন তাদের ওয়েব সাইটে চলে যান, এবং দেখুন তারা সিএসসি স্কলারশিপ দেয় কিনা।

২. https://studyinchina.csc.edu.cn/ এই ওয়েবসাইটে চলে যান। একটা অ্যাকাউন্ট খুলুন, লগইন করুন ফর্ম পূরণ করার জন্য। ইমেইলের ক্ষেত্রে জিমেইল বাদ দিয়ে অন্য ই-মেইল দিয়ে অ্যাকাউন্ট খুলুন। যেমন আউটলুক, কিউকিউ। 

৩. ফর্ম পূরণ করুন, পূরণ করার সময় প্রথমে আসবে এজেন্সি নাম্বার। এইটা আপনি যেই ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করবেন তাদের কোড নাম্বার। গুগলে সার্চ দিলেই পেয়ে যাবেন অথবা ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে পাবেন এই কোড নাম্বার।
এর সাথে আপনাকে ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে হবে সেক্ষেত্রে এমব্যাসি এর মাধ্যমে আসলে “এ” ক্যাটাগরি দেবেন, আর সিএসসি এর জন্য “বি” ক্যাটাগরি। এরপর সব তথ্য গুলো দিন। ফর্ম পূরণ করা শেষ হলে সাবমিট করুন এবং পিডিএফ ডাউনলোড করুন। এই অপশন উপরে পাবেন চিন্তা নেই।

৪. পিডিএফ টা প্রিন্ট করুন, এই প্রিন্ট করা পিডিএফ সহ আপনার সব কাগজ দুই সেট করুন, একটা ফাইল করুন। এবার ইউনিভার্সিটির ওয়েবসাইটে গিয়ে দেখুন যে উনারা আর কোন ফর্ম পূরণ করতে বলেছে কিনা, কিছু ইউনিভার্সিটি তাদের ওয়েবসাইটে ফর্ম পূরণ করতে বলে। যদি বলে তাহলে সেইটা পূরণ করুন এবং ডাউনলোড করুন। আর যদি এমন কিছু না বলা থাকে তাহলে দরকার নেই।

৫। আপনি যেই ইউনিভার্সিটিতে অ্যাপ্লাই করছেন দেখে নিন তাতে কোন ফি দিতে হবে কিনা, এইটা অ্যাপ্লাই করার আগে দেখে নিয়েন। বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটিতে ২০০-৮০০ আরএমবি এর বেশি ফি দিতে হয়,  যা আমাদের দেশের  ৩৫০০-১৩০০০ টাকার কাছাকাছি। ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড এর মাধ্যমে টাকা পেইড করা যায়।
ফ্রি তে অ্যাপ্লাই করা যায় এমন ইউনিভার্সিটি-ও আছে অনেক। https://www.cscscholarship.org/chinese-universities-with-no-application-fee এই ওয়েবসাইটে গেলে পাবেন কিছু ফ্রিতে অ্যাপ্লাই করার ইউনিভার্সিটি। এইখানে ৩৩ টা ওয়েব সাইটের নাম দেওয়া আছে, তবে আমার জানামতে ৬০ তার মত ইউনিভার্সিটিতে ফ্রি অ্যাপ্লাই করা যায়। গুগোলে সার্চ দিয়ে দেখতে পারেন।

৬. আপনি যত কাগজ আপলোড করেছিলেন সেইগুলোর অরিজিনাল কপি, অ্যাপ্লিকেশন যেইটা পূরণ করলেন তা সহ একটা ফাইল করুন। আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি সব ডকুমেন্টস ২ সেট করে হবে।

৭. ডিএইচএল বা ভালো মানের কোন আন্তর্জাতিক কুরিয়ার এর মাধ্যমে তা আপনার ইউনিভার্সিটির অ্যাড্রেসে পাঠিয়ে দিন। কাজ শেষ। তবে করোনার জন্য প্রায় সকল ইউনিভার্সিটি হার্ড কপি নিচ্ছে না, সেক্ষেত্রে আগে ইউনিভার্সিটি ওয়েবসাইট দেখে নেবেন। যদি হার্ড কপি সেন্ড করা না লাগে তাহলে দরকার নেই।  

৮. মেইল চেক করবেন নিয়মিত, জুন/জুলাই এর দিকে রেজাল্ট পেয়ে যাবেন। ভালো ইউনিভার্সিটিতে পড়তে গেলে ভাইভা সহ অনালাইনে আরো কিছু পরীক্ষা দিতে হয়, সেইটার জন্য প্রস্তুত থাকবেন, মেইলে জানানো হবে সব কিছু।


সাধারণত ২বার আবেদন নেওয়া হয় বছরে। মার্চ ইনটেক ও সেপ্টেম্বর ইনটেক। মার্চ ইনটেক টা অনেক ছোট, খুবই কম স্টুডেন্ট নেওয়া হয়, আর মিডল বা লোয়ার লেভেল এর ইউনিভার্সিটি হয়ে থাকে। সুবিধা কম, অনেক কম। তাই আমার মতে এই ইনটেকে আবেদন না করাটা ভালো। অন্যদিকে সেপ্টেম্বর ইনটেকে অনেক ছাত্র-ছাত্রী নেওয়া হয়। আর উপরে উল্লিখিত সকল সুবিধা পাবেন। সেপ্টেম্বর ইনটেক এর আবেদন শেষ হয়ে মার্চ এর দিকে, তবে কিছু ইউনিভার্সিটি জুন পর্যন্ত যায়। যদি ফুল স্কলারশিপ পান তাহলে আসার সময় ৩০০০ আরএমবি নিয়ে আসবেন, প্রথম মাসে একটু খরচ আছে। যখন আসবেন তখন সব অরিজিনাল কাগজ, ফটোকপি, ছবি, ভোটার আই ডি কার্ড সহ দরকারি সব কিছু নিয়ে আসবেন।

শেষ কথা হলো, আপনি নিজে অ্যাপ্লাই করবেন যদি না পারেন তাহলে গুগল, ইউটিউব-এ সার্চ দিন, তাও না পারলে বড় ভাইয়ের সাহায্য নিন তবুও এজেন্ট আর এক রকম দালাল আছে যারা ফেসবুকে বলে ইনবক্স করুন আমাকে তারপর টাকা চায়, এদের কাছে যাবেন না।কারণ তারা আপনাকে বিভিন্ন সুবিধা এর কথা বলবে কিন্তু এইখানে এসে দেখবেন শেষ হয়ে যাবেন, তাই যতটা সম্ভব নিজে থেকে করুন।
https://cscscholarship.org এই ওয়েবসাইটে সব তথ্য পাবেন আপনার যা লাগবে।


সবশেষে আপনাকে বলব নিজে অ্যাপ্লাই করুন। কাউকে ধরে অযথা ১-১.৫ লাখ টাকা নষ্ট করার প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না। কিছু না বুঝতে পারলে গুগল আছে, ইউটিউব আছে শুধু সার্চ দেবেন, সব তথ্য পেয়ে যাবেন। একটা কথা মনে রাখবেন আপনি নিজে অ্যাপ্লাই করলে চান্স পাবার সম্ভাবনা যতটা অন্য কেউ অ্যাপ্লাই করলে-ও ততটা। ভালো রেজাল্ট, মার্কশিট, সার্টিফিকেট, ছবি, পাসপোর্ট সব কিছুই আপনার তাহলে কেনো অন্যকে ১-১.৫ লাখ টাকা দেবেন? কীভাবে অ্যাপ্লাই করতে হয় এইটা না জানার জন্য যদি এত টাকা দিতে হয় তাহলে শিখুন কীভাবে অ্যাপ্লাই করতে হয়। আপনার জন্য অনেক শুভ কামনা থাকলো, ধন্যবাদ।


রিয়াদ হাসান
হুবেই ইউনিভার্সিটি, চায়না


নিচের ওয়েবসাইট গুলো দেখলে আর কাউকে লাগবে না বলে আমার মনে হয়, সব কিছুই পাবেন।

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.