Header Ads

Header ADS

আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষা Study in USA

আমেরিকাতে উচ্চশিক্ষা Study in USA

আমেরিকা, অনেকের স্বপ্নের দেশ পড়াশোনা করার জন্য। আমেরিকা আর যায় হোক না কেন শিক্ষার জন্য সর্বশ্রেষ্ঠ বলা যেতে পারে। অন্য দেশে আপনি খুবই সহজে আপনার ডিগ্রি পেয়ে গেলেও আমেরিকাতে বেশির ভাগ ইউনিভার্সিটিতে অনেক খাটতে হয় ডিগ্রি নেবার জন্য। আপনার ইচ্ছা যদি হয় আমেরিকাতে পড়া তাহলে নিচের লেখাটা আপনার জন্য-ই। তবে একটা কথা বলে রাখছি, মাত্র এই একটা ব্লগ পরে আপনার উচিত হবে না অ্যাপ্লাই করা, আরও অনেক ব্লগ পড়ুন তাহলে ভালো আইডিয়া পাবেন।

আরও একটা কথা বলে নেই আপনি যদি জীবনে সফল হতে চান তাহলে আপনাকে যে আমেরিকা তা আসতে হবে এমন কোন কথা নেই। অনেকেই আছেন যেনারা আমেরিকা তে পড়াশোনা না করে জীবনে সফল হয়েছেন আর হবেনও। আমেরিকাতে এসে সফল হবেন, না আসলে সফল হতে পারবেন না এমন কথা নেই। আপনার নিজের অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করুন, আপনি-ও সফল হতে পারবেন।

প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কেন আমেরিকা তে পড়বেন? আপনার গ্রামের একজন গিয়েছে এই জন্য আপনাকে যেতে হবে যদি এমন টা চিন্তা করেন তাহলে আপনার সিদ্ধান্ত ভুল। প্রথমে ঠিক করুন আপনার জীবনের লক্ষ্য কি, এই লক্ষ্য পূরণ করার জন্য আপনাকে আমেরিকা তে আসতে হবে কিনা। ধরুন আপনার ইচ্ছা বাংলাদেশে ব্যাংক এর চাকরি করবেন। তাহলে আমেরিকা আসার দরকার নেই, বা বিসিএস দেবেন তাহলে দরকার নেই। তবে যদি আমেরিকাতে চাকরি করতে চান, বা দেশের কোন ইউনিভার্সিটির শিক্ষক হতে চান তাহলে আপনাকে স্বাগতম।

আবেদনের সময়ঃ নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর বা জানুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত।

আমেরিকা পড়ার জন্য যে সব ডকুমেন্টস লাগে-
প্রথমে চলে যান যে ইউনিভার্সিটিতে পড়তে চান তাদের ওয়েব সাইটে। উনারা কি কি চেয়েছেন তা পড়ে নিন। গুগল আপনার সব থেকে ভালো বন্ধু এইটা মনে রাখবেন, গুগল কে কাজে লাগান।

ব্যাচেলর এর সিজিপিএ
সিজিপিএ আমেরিকাতে খুব একটা দেখে না। তবে সিজিপিএ ভালো হলে আপনি অবশ্যই এগিয়ে থাকবেন তা বলার অপেক্ষা থাকে না।

জিআরই/জিম্যাট
ভাই এইটা আপনার ভর্তিতে বিশাল ভূমিকা পালন করবে, এইটা কে বলা যেতে পারে আপনার ভর্তির পাসপোর্ট। আপনি কোন সাবজেক্ট এ পড়বেন তার উপর নির্ভর করবে জিআর ই/জিম্যাট কোনটা দেবেন। অবশ্যই দেখে নেবেন যে কোনটা চাচ্ছে আপনার পছন্দের বিষয়ে ভর্তির জন্য।
জিআরই/জিম্যাট কি খুবই কঠিন? হ্যাঁ, বলা যায় মোটামুটি কঠিন। তবে আপনি যদি ৬ মাস পড়েন আর আপনার যদি বেসিক ভালো থাকে তাহলে এইটাতে আপনি খুবই ভালো করবেন। জিআরই তে আপনি ৩০০+ পেলে ফুলফান্ড পর্যন্ত পেতে পারেন। স্কোর আরও বেশি থাকলে আরও ভালো, চান্স পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এই স্কোর দিয়ে প্রাথমিক যাচাই বাছাই করা হয়। তবে কিছু ইউনিভার্সিটি আছে যেখানে এই স্কোর দিতে হয় না। অ্যাপ্লাই করার সময় দেখবেন যে এই স্কোর টা রিকোমেন্ডেড নাকি রিকোয়ার্ড। রিকোমেন্ডেড মানে দিলে ভালো, রিকোয়ার্ড  মানে দিতেই হবে।
স্যাট; যারা ব্যাচেলর পড়তে চান তাদের জন্য স্যাট দিতে হয় জিআরই/জিম্যাট না।

আইইএলটিএস/টোফেল
এইটা আপনার ইংরেজি কেমন তা বোঝাবে। অ্যাপ্লাই করার সময় আইইএলটিএস বা টোফেল স্কোর চায়। এইটা দিয়ে ফেলুন। এইটা আহামরি কিছু না।

৩ টা রিকমেন্ডেশন লেটার
অনেক বড় ভূমিকা রাখে। এইটা হলো আপনার সম্পর্কে কেউ একজন বলবে আপনি খুবই ভালো। যিনি রিকোমেন্ড করছেন উনার মতে আপনার মত ভালো ছাত্র কেউ নেই, আপনি উনার দেখা সব থেকে ভালো ছাত্র। ভবিষ্যতে আপনি কি রকম গবেষণা করবেন, আপনার সম্ভাবনা কতটা, প্রশংসা টাইপ কথা থাকবে। এইটা সাধারণত আপনার অ্যাকাডেমিক আর প্রেফেশোনাল সেক্টর থেকে নিতে হবে। তবে মাথায় রাখবেন কম হলেও একজন প্রোফেসর এর রিকমেন্ডেশন লেটার দেওয়ার চেষ্টা করবেন। যিনি রিকমেন্ডেশন লেটার দেবেন উনাকে বলুন উনি যেন নিজে এইটা লেখেন। কারণ মাঝে মাজে এইটা স্টেটমেন্ট অব পারপাস এর সমতুল্য হয়ে যায়।

চাকরির অভিজ্ঞতা
এইটা আপনাকে কিছুটা এগিয়ে রাখবে। আপনি কি চাকরি করছেন। এইটা নিয়ে বিস্তারিত কিছু লেখার দরকার আছে বলে মনে হয় না।

পাবলিকেশন/রিসার্চের অভিজ্ঞতা
মহামূল্যবান একটা জিনিস। আপনার যদি একটা পাবলিকেশন থাকে তাহলে আপনার সম্ভাবনা অনেক অনেক বেশি। উনারা রিসার্চ, পাবলিকেশন কে অনেক মূল্যায়ন করেন। তাই ছাত্র অবস্থায় এইটা করার চেষ্টা করুন।

স্টেটমেন্ট অফ পারপাস
সব থেকে গূরুত্বপুর্ণ । এইটার উপর নির্ভর করবে আপনাকে ভর্তির সুযোগ দেবে কিনা। তাই এইটা সময় নিয়ে লিখুন। বড় ভাইকে দেখান বার বার। কাটুন, আবার নতুন করে লিখুন। প্রায় ২ মাস সময় নিয়ে এইটা লিখুন। সর্বোচ্চ ভালো ভাবে লেখার চেষ্টা করুন। তবে একটা কথা মনে রাখবেন সদ্য শেখা জিআরই শব্দ গুলো ব্যবহার যেন না হয়। এইখানে লিখবেন আপনার নিজের সম্পর্কে, আপনি কেনো পড়তে আসতে চান এই ইউনিভার্সিটিতে, আপনার উদ্দেশ্য কি, গবেষণা করতে চান কিনা এই বিষয়ে। ২ পেজ এর বেশি না লেখা ভালো। চাপা মারা থেকে বিরত থাকুন, আর নিজেকে আইনস্টাইন বা নিউটন বানানো থেকে বিরত রাখুন, যদি বানান তাহলে বুঝতে পারছেন কি হবে।

তো উপরে যে বিষয় গুলো নিয়ে বললাম। আমি যা বললাম এ সবই প্রাথমিক ধারণা দেওয়ার জন্য। আমেরিকাতে পড়তে আসার যে প্রক্রিয়া তা সম্পূর্ণ বলতে গেলে অনেক সময় লাগবে, সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া না লিখতে পারার জন্য আন্তরিক ভাবে দুঃখিত। অন্য একসময় লেখব তাই প্রাথমিক ধারণা দিলাম মাত্র।

No comments

Note: Only a member of this blog may post a comment.

Powered by Blogger.